
মারিওপোল শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ছবি : ডয়চে ভেলে
ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিওপোল শহরের শেষ শক্ত অবস্থান আজ বৃহস্পতিবারই (২১ এপ্রিল) দখল করে নেবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এমনই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।
ইউক্রেন সেখান থেকে সেনা ও বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর মস্কোর তরফ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আট সপ্তাহের মাথায় মারিওপোলই হবে রাশিয়ার দখল করা সবচেয়ে বড় শহর।
মারিওপোলের আজোভস্টাল স্টিল কারখানা ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টিল কারখানা। গত প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেনের মেরিন বাহিনী এই কারখানাটি রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এসেছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেখানে অবস্থানরত মেরিন বাহিনী জানাচ্ছিল, তাদের গোলাবারুদ ক্রমশ কমে আসছে। দ্রুত তা পূরণ না করলে বাহিনীর পক্ষে আর কারখানাটি রক্ষা করা সম্ভব নয়।
এরইমধ্যে গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান কাদিরভ দাবি করেন, কারখানাটি রাশিয়ার দখলে চলে এসেছে। ইউক্রেন অবশ্য এর সমর্থনে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি জারি করেনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে কাদিরভের বাহিনী। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিকভাবে কাদিরভের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
গতকাল বেশ কিছু বেসামরিক ছোট বাসের বহরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইউক্রেনের মেরিন কমান্ডার সেরহাই ভোলিনা বুধবার জানান, স্টিল কারখানায় অবস্থানরত যোদ্ধারা হয়তো খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওই কারখানায় প্রায় এক হাজার বেসামরিক আশ্রয় নিয়েছে।
ইউক্রেনের আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, মারিওপোলের সেনা ও বেসামরিকদের রক্ষায় কোনো শর্ত ছাড়াই ‘বিশেষ দফার আলোচনার জন্য প্রস্তুত’ কিয়েভ।
আটকে পড়া সেনা ও বেসামরিকদের সরে যাওয়ার বিনিময়ে রুশ বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। -ডয়চে ভেলে